টাকার রফা নিয়ে বালিঘাটে সংঘর্ষ , বোমাবাজি : উত্তেজনা এলাকায়

18th November 2020 11:17 am বর্ধমান
টাকার রফা নিয়ে বালিঘাটে সংঘর্ষ , বোমাবাজি : উত্তেজনা এলাকায়


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  টাকার রফা নিয়ে ফের সংঘর্ষ ও বোমাবাজি ঘিরে উত্তপ্ত হল পূর্ব বর্ধমানের গলসির শিকারপুরের বালিঘাট । সংঘর্ষে বালিঘাটের এক কর্মী সহ কয়েকজন জখম হয়েছেন । 
খবর পেয়ে গলসি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । শুরু হয়েছে পুলিশী ধরপাকড় । প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,গলসির শিকারপুরের সোঁদা ঘাটে  বালি তোলার অনুমতি পায় স্থানীয় একটি সংস্থা ।খাদান চালু হবার পর নদীর  জায়গা নিয়ে বিবাদ বাঁধে । অভিযোগ মাঝের মানা লাগোয়া  জায়গায় বালি কাটার জন্য মাসিক কয়েক লক্ষ টাকা দাবী করেন সেখানকার গ্রামবাসীদের একাংশ। তাতে বেকায়দায় পড়ে  গিয়ে কয়েকদিন আগে সেখানকার মৌজার বালি ঘাটের জায়গা  মাপজোপ করেন ঘাট মালিক। তারপর তিনি  ঘাটের আনুসাঙ্গিক কাজ শুরু করেন । তাতেও বিবাদের নিস্পত্তি ঘটে না ।  এদিন  গ্রামবাসীদের সাথে ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষের  মিমাংসা চলাকালীন হঠাৎই  দুইপক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায় । তার পরেই ঘাটে শুরু হয়েযায়  হাতাহাতি ও বোমাবাজি ।  একই সঙ্গে চলে বালি ঘাটের যন্ত্রাংশে ভাংচুর । বেধড়ক মারধর করা হয় ঘাটের কর্মী সব্যসাচী পালকে। মারামারি ছাড়াতে গিয়ে জখম হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অরুপ সেন। বালি ঘাটে কর্মরত বেশ কয়েকজন শ্রমিককেও মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ । পাল্টা হামালায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীও আহত হন । খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । জখমদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে  । এই ঘটনা বিষয়ে ঘাট মালিক ওমর ফারুক ও গলসির শাসক দলের নেতৃত্ব যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।  তবে গলসি নিবাসী জেলা বিজেপি নেতা জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন , শিকারপুরের বালি ঘাট থেকে আদায় করা টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা কি হবে তা নিয়েই এদিন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে । অথচ উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবে কেউ কেউ ঘটনার সঙ্গে বিজেপির নাম জড়িয়ে দিয়ে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে । তবে তাতে কিছু লাভ হবে না । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।